সময় নেই হাতে
আজকাল কারো হাতে সময় নেই। সকালে উঠে দাঁত না মাজলে দাঁত নষ্ট হয়ে যাবে তাই কোনোরকমে দাঁতের ওপর যেমন তেমন করে ব্রাশের এলোমেলো স্পর্শ বুলিয়ে কঝনো রকমে ওটার পাঠ চুকিয়ে অন্য কাজে মন দিতে পারলেই বাঁচা যায়। তারপরে তো প্রাতঃকর্ম আছে, খেয়ে উদ্ধার করা আছে, কি নিলাম কি নিলাম না সেটাও মাথায় রাখতে হবে। সব মিলিয়ে এক হুলস্থুল অবস্থা... বাড়ির বৌ যদি চাকরি করে তাহলে তো ঘরের বাকিরা তো শুধু স্বামী স্ত্রীর উত্তেজিত চলা ফেরা দেখেই ছায়াছবি দেখার আনন্দ উপভোগ করে নিতে পারবে। তবে যদি ছোট বাচ্চা থেকে থাকে তাহলে গোলমাল আরো বাড়বে, সকালে যদি রান্নার মাসির আসার থাকে আর সে যদি সময়ের রকমফের করে বসে তাহলেই হলো। গৃহিণী একাই তখন গোটা ঘর মাথায় তুলে নেবে! স্বামীর দুদণ্ড দেরি হবার উপক্রম নেই, হলেই তখন ঝড় উঠবে বাড়িতে। কে কার কথা শোনে তখন, সবাই সমস্বরে চেঁচাতে ব্যস্ত হয়ে উঠবে। এই তো গেল সকালে ওঠার পরেরে চিত্রনাট্য, এরপরে রাস্তায় নামার পর স্কুল বাস দেরি কেন করছে? অথবা স্কুল বাস আগেভাগে এসে পড়লে আহা হাতে অনেক সময়, তখন হেলতেদুলতে যেমন খুশি চলো, বাসের জন্য অপেক্ষা বেড়ে যাবে, অথবা এ্যাপ ক্যাবের জন্য বুকিং করে শা...